এইডস কি? এইডস কাকে বলে? এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

HIV ( human immunodeficiency virus)  এইডস ( Acquired Immuno Deficiency Syndrome) যেটা্র মানে হল মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ অভাব সৃষ্টিকারী এক ধরনের ভাইরাসের কারণে সৃষ্টি হওয়া একটি রোগ লক্ষণ এর সমষ্টি। যেটা মানুষের শরীরের একেবারেই রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। এর কারণে কোনো ব্যক্তি যদি এইডস রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শরীরে অন্যান্য ও সংক্রমণ খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। যার ফলে সেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এইডস কাকে বলে

এইডস কাকে বলে? এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে

এইচআইভি সংক্রমণের সাথে সাথে কিন্তু এইডস রোগ হয় না। প্রথমদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ রোগীর মধ্যে দেখা দিতে পারে। এবং এর বহুদিন পরে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না মানুষের শরীরে। এইচআইভি ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের শরীরের অন্যান্য প্রতিরক্ষার থাকে সেগুলো আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকে । এবং এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত যে সকল সংক্রামক যেমন যক্ষাতে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি টিউমারের শিকার হতে পারে। এইডস কাকে বলে।

এইডস কাকে বলে? এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।  এইডস কাকে বলে।

এই ব্যাধি গুলো একমাত্র সেসব লোকের হবে যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করবে না। তাদের এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণের এই পর্যায়ে আসলে তখনই তাকে এইডস  বলা হয় ।আর কোন ব্যক্তির যদি এইডস হয় তাহলে তার অনিচ্ছাকৃত ভাবে কিন্তু তার শরীর থেকে অনেকটা ওজন কমে যাবে। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে

আরো জানুনঃ রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

এইচআইভি বা এইডস এর ইতিহাস

প্রথমে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রাইমেটদের মধ্যে এইচআইভি দ্বারা সংক্রমিত রোগ এর সূচনা ঘটে। অবশ্য শুধু এ ভাইরাস নয় এই ভাইরাসের সহ অন্যান্য বিভিন্ন  ভাইরাস বিভিন্ন সময় মানুষকে আক্রমণ করেছে । এইচ আই ভি  ভাইরাস ১৯২০ সালে কঙ্গোর কিনশাসা ইন এ মহামারী রূপ নিয়েছিল। এইচআইভি-এইডস সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হল এইচআইভি-১ এবং অপরটি হল এইচআইভি-২। এইচআইভি-২ এর তুলনায় এইচআইভি-১ অনেক বেশি তীব্র এবং খুব সহজেই মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয়। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং

বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়া এইচআইভি-১ এর সাথে শিম্পাঞ্জির এক প্রজাতির মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। আর এই প্রজাতির শিম্পাঞ্জি গুলো মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে যেমন কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বিষুবীয় গিনি্‌, ক্যামেরুন এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র দেশ গুলোতে বাস করে। এইচআইভি-২ অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত হয় এবং এটি পশ্চিম আফ্রিকায় বিস্তৃত। এই ভাইরাসটি আবার এক ধরনের বানরের মাঝে পাওয়া এক ভাইরাসের সাথে গভীরভাবে যুক্ত আর এই বানরটি বাস করে আইভরিকোস্টের পশ্চিমে, গিনি বিসাউ, লাইবেরিয়া,দক্ষিণ সেনেগাল এবং সিয়েরা লিওনে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

কোথা থেকে এলো এই এইডস। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইচ আই ভি ভাইরাস আবিষ্কারের প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেছে। আর এই তিন দশক পরে এইচআইভি ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন যে ৩৬ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সময়। আর এই ৩৬ বছরে প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই সাড়ে সাত কোটি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পরে কোথা থেকে এইচআইভি ভাইরাস এসেছে সেটা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে ১৯২০ সালের দিকে আফ্রিকার বেলজিয়ান কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা থেকে সর্বপ্রথম এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে। 

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

গবেষকরা এই প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন হাজার হাজার মানুষের জেনেটিক বিশ্লেষণ করার পর। বেলজিয়ামের ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে মধ্য আফ্রিকা দেশ বেলজিয়ান কঙ্গো .১৯০৫সাল থেকে 1960 সাল পর্যন্ত ছিল। গবেষকরা দাবি করেছেন যে এখান থেকে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে মধ্য আফ্রিকায় এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

গবেষকরা দাবি করেছেন যে মারাত্মক এইচআইভি এইডস এর উৎপত্তি হয় উপনিবেশিক একটি শহর থেকে ।  একসময় কিনশাসা লিওপোল্ড ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। এখানেই কাছ থেকে সংগ্রহ করা বন্য পশুর মাংস অনেক বেশি বিখ্যাত ছিল। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়। 

আরো জানুনঃ চিয়া সীড সুপারফুড হওয়ার 15 কারণ

২০২০ সালে দেশে এইডস নতুন শনাক্ত ৬৫৮ মৃত্যু ১৪১

আমাদের বাংলাদেশে এইচআইভি এইডস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এইচ আই ভি এইডস এ আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশ হচ্ছে অভিবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবার। চার ধরনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি দেখা গিয়েছিল কিন্তু 2019 সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই সংক্রমণ সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে চলেছে এ তথ্য সরকারের। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে এইচ আই এভরি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০,২০,১০০,২০০ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি। তবে মাত্র ৮০৩৩ জন চিকিৎসার আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর .১২৪ জন। গত এক বছরে বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শনাক্ত করা হয়েছে .৬৫৮ জন আর ১৪১জনের মৃত্যু হয়েছে।  বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩৮৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডঃ মোঃ সামিউল ইসলাম ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ উপলক্ষে দুপুর বারোটার দিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এক আলোচনা সভায় একথা জানান। অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ শফিউল ইসলাম জানান যে বাংলাদেশে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০২০ সালে ৬৫৮ জন । এবং এই ৬৫৮ জন এর মধ্যে ২১ শতাংশ নারী ৭৬ শতাংশ পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ৩ শতাংশ। আর এদের মধ্যে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ঢাকা বিভাগের সব থেকে বেশি ২১৮ জন খুলনা বিভাগে ৬৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৭ জন সিলেট বিভাগে ৪৫ জন রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের ১৫ জন বরিশাল বিভাগের ২৮ জন এবং রংপুর বিভাগে রয়েছে ১৫ জন। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।


ডক্টর সামিউল ইসলাম আরও জানান যে এইচআইভি ভাইরাসের নতুন আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা গিয়েছে যে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ আছে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে । ৭৪ দশমিক ২০ শতাংশ আছে ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। .৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ আছে ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। ২.০ দশমিক ৭ শতাংশ আছে ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ আছে ৬ থেকে ৯ বছরের মধ্যে। এবং ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ আছে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। 

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

আরো জানুনঃ 7 টি ইলিশ মাছের উপকারিতা

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

ডক্টর সামিউল ইসলাম আরও জানান যে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বিবাহিতরাই সবথেকে বেশি। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে.৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ মানুষই হলো বিবাহিত । আর ২৩ দশমিক ১৬  শতাংশ হলো অবিবাহিত। এইডস কাকে বলে।

যেসব কারণে এইডস ছড়ায়। এইডস কাকে বলে।

  • বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। এর কারণ এটি হল যে কনে বা বর উভয়ই ভাইরাস বহন করলে, যৌন মিলনের ফলে রেট্রোভাইরাস সহজেই অন্য ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে।
  • প্রতিবার ইনজেক্ট করার সময় একটি নতুন সিরিঞ্জ এবং সুই ব্যবহার করুন।
  • এইডস রোগীর শরীরে ইনজেকশন করা সূঁচের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায়।
  • এইডস সংক্রামিত মায়ের কারনে সন্তানের সংক্রামিত হতে পারে। এইডস কাকে বলে।
  • যৌনকর্মীদের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
  • যদি মরণ অবস্থায় রক্তের প্রয়োজন হয় তবে এইডস পরীক্ষা করার পরে দেহে রক্ত দিতে হবে।
  • এইচআইভি ভাইরাস বহন করে এমন মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলেও ছড়ায়।

এইচআইভি ভাইরাসের লক্ষণ। এইডস কাকে বলে।

  • প্রায় দেড় মাস ধরে নিয়মিত জ্বর এবং একটানা জ্বর। এইডস কাকে বলে।
  • জ্বর এর সাথে গলায় অস্বাভাবিক ব্যথা। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।
  • ব্যাথার জন্য খাবার খেতে এবং গিলতে কষ্ট হওয়া। এইডস কাকে বলে।
  • অস্বাভাবিক ভাবে ওজন হ্রাস পাওয়া। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে শরীরে অন্যান্য রোগের বাসা বাধা।
  • অল্পতেই পেটে ব্যথা বমি ভাব হওয়া। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।
  • ঘুমের মধ্যে ঘাম হওয়া। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।
  • এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন আক্রান্ত ব্যক্তির গলায় এবং মাথাতে র‍্যাস দেখা দেয় এবং এটা ভীষণ জ্বালা করে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকলে চামড়ার নিচে ফুলে যাওয়া গোটার মতো, ডায়রিয়,কাশি, লিম্ফ নোড ইত্যাদি দেখা দেবে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস প্রতিরোধের উপায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরে ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও গণ সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। আজ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে প্রায় .৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসের আক্রান্ত এবং প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এই মরণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এইচআইভি ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার উপায় গুলো হলো ধর্মীয় অনুশাসনে দাম্পত্য জীবন যাপন করা, এবং গ্রহণ ও প্রদানকালে সর্তকতা অবলম্বন করা, বহুগামিতা পরিহার করা এবং নিরাপদ যৌন অভ্যাস তৈরি করা। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ না করা। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। একই ইনজেকশন একাধিক জন ব্যবহার করলে যদি কারো শরীরে এইচআইভি ভাইরাস থাকে তাহলে ইনজেকশনের মাধ্যমে একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। তার জন্য ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

আরো জানুনঃ কোন খাবারগুলিকে সুপারফুড বলা হয় এবং কেন?

 নিরাপদ যৌন মিলন যৌন মিলন এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।

যৌন মিলন হচ্ছে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ। এইচআইভি ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ যৌন মিলনের কোন বিকল্প রাস্তা নেই । এইচআইভি ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য অপরিচিত কারও সঙ্গে যৌন মিলন না করাই ভালো। এবং যৌন মিলন করার সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করা উচিত। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

রক্ত পরীক্ষা করে গ্রহণ করা। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

কোন ব্যক্তির জন্য রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে সে রক্ত দেয়ার আগে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। কারণ সে রক্তে যদি কোন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নেয়া হয় তাহলে যার শরীরে দেয়া হবে তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়াবে । এইডস কাকে বলে।

একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌন মিলন না করা। এইডস কাকে বলে।

 একাধিক অপরিচিত মানুষের সঙ্গে যৌন মিলনের ফলে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই একাধিক যৌনমিলন থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। যদিও একাধিক যৌন মিলন করতে চাই বা যারা যৌনকর্মী আছে তারা যৌন মিলন করার সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। কনডম ছাড়া যৌন মিলন করা যাবে না। তাহলে একজনের শরীর যদি এইচআইভি ভাইরাস থাকে তাহলে খুব সহজে আরেকজনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।

আক্রান্ত মায়ের থেকে ছড়াই। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

কোন মায়ের শরীরে যদি এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় তবে তার গর্ভের সন্তানের হতে পারে । এছাড়াও সন্তান জন্মের পরে যদি মায়ের বুকের দুধ খায় তাহলে এটার মাধ্যমে সন্তানের এইচআইভি ভাইরাস হবে। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে কয়েকটি ভুল ধারণা জেনে নেই

এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের মাঝে যে ভুল ধারণা গুলো রয়েছে আজকে আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানব। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।  এইডস কাকে বলে।

আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা করা যাবে না এইডস কাকে বলে।

 যুক্তরাজ্যের ২০ শতাংশ মানুষ ২০১৬ সাল পর্যন্ত এটা বিশ্বাস করতো যে কোন ব্যক্তি যদি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে সেই ব্যক্তি কে স্পর্শ করা যাবেনা। তার মুখের লালা দাঁড়াও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু এটা সবারই জানা দরকার যে এইচআইভি ভাইরাস কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়।  এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে হাত মেলালে, চুমু খেলে, নিঃশ্বাস নিলে, একই পাত্রে খাবার খেলে, জড়িয়ে ধরলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে, পানি খেলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির টয়লেট ব্যবহার করলেও এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবে না।

মশা দ্বারা এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়। এইডস কিভাবে ছড়ায়। 

ঘরে অনেক মানুষ থাকে তাহলে মজা সবাইকে কামড়াবি এটায় স্বাভাবিক। একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে যদি কোন মশা এইচ আই ভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেয় এবং সেই মশা যদি ভাল মানুষকে কামড় দেয় তাহলে সেই মানুষের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আরো একটি ভুল রয়েছে যৌন মিলন করার পর যদি গোসল করা হয় তাহলে নাকি এইচআইভি ভাইরাস পরিষ্কার হয়ে যায়। দুইটি কারণে মশা মারার মানুষের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায় না । তার একটি মশার শরীরে এইচআইভি ভাইরাসের জীবাণু খুবই কম সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আর দ্বিতীয়টি হল যে মশা একজনের শরীর থেকে রক্ত খেয়ে অন্যজনের শরীরে কিন্তু ইনজেকশন দেয়ার মতো করে রক্ত ঢুকিয়ে দেয় না।

ওরাল সেক্স করলে।এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

অনেকের মাঝে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যদি ওরাল সেক্স করা যায় তাহলে অন্য ব্যক্তির ও এইচআইভি ভাইরাস হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখি আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ওরাল সেক্স অনেকটা কম ঝুঁকিপূর্ণ । তবে কেউ যদি এইচআইভি পজিটিভ হয় তাহলে তার সঙ্গে যদি কেউ ওরাল সেক্স করে তাহলে তার এইচআইভি ভাইরাস হওয়া সম্ভব। কিন্তু এটার হার খুবই খুবই বিরল। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

কনডমের অনেক ঝুঁকি রয়েছে। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

আপনি যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করলেই যে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না এমন ধারণাটা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ আপনি যদি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করার সময় আপনার কনডম ফুটো হয়ে যায় তাহলে কিন্তু অনেক বড় বিপদে পড়তে পারেন।আর তাই এইচআইভি ভাইরাস রোধে প্রচারণায় কনডম ব্যবহারের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে না।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

উৎসাহিত করা হচ্ছে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার ব্যাপারে। আর সবথেকে অবাক করা কারণ হলো এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি চারজন ব্যক্তির মধ্যে একজন জানেন না যে তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে। এদের সংখ্যা নেহাত কম নয় প্রায় এক কোটির মত। আর হয়তো সে জন্যই সে নিজের অজান্তেই অন্যকে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত করে ফেলতেছে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

কোন লক্ষন না থাকলে এইডস হয়নি। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

 আপনার শরীরের যদি কোন লক্ষণ না থাকে তাহলে যে আপনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত নন এটা একদমই ভুল ধারণা। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি শরীরের অনেকদিন পর্যন্ত কোনো রকমের লক্ষণ দেখা দিতে নাও পারে। অনেকের শরীরে যদি এইচআইভি-২ ভাইরাস হয় তাহলে সেই ব্যক্তি এভাবে ১০থেকে ১৫ বছর বেঁচে থাকতে পারেন। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

আর যদি কোন ব্যক্তির শরীরে এইচআইভি-১ ভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে সেই ব্যক্তির শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তার হালকা জ্বর, গলাব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাব, মাথা ব্যাথা এবং শরীরের র‍্যাস দেখা দিতে পারে। এবং আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অন্য লক্ষণগুলো দেখা দেবে যখন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। আর এইচআইভি ভাইরাস এর প্রধান বিপদ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া।

এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অল্প বয়সে মারা যায়

 অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে সে খুব অল্পসময়ের মারা যায় এটা ভুল ধারণা ইদানিং ভাইরাসের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে আর এর চিকিৎসার ফলে এইচআইভি পজেটিভ ভিডিও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন অনেকদিন ধরে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় 47 শতাংশ ক্ষেত্রে এইচআইভি ভাইরাসের জীবাণু মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জাতিসংঘের ইটস বিষয়ক সংস্থা বলছে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

মায়েরা সবসময় বাচ্চাদের সংক্রামিত করে। এইডস কাকে বলে। 

সাধারণ বিশ্বাস হ'ল সংক্রামিত মহিলা যদি কোনও সন্তানের জন্ম দেয় তবে জীবাণুগুলি তার সন্তানের শরীর ছেড়ে চলে যায়। তবে সেটা সবসময় নাও হতে পারে। যদি সংক্রামিত মায়ের দেহে জীবাণুর স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তিনি প্রসবের সময় শিশুটিকে সংক্রামিত করতে পারেন না।

বাংলাদেশে এইডস রোগীর বেঁচে থাকার লড়াই

শেফালি আক্তার (ছদ্মনাম) ভাবতে পারেননি যে তিনি ২০১৮ পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন। সাত-আট বছর আগে তিনি ভেবেছিলেন তাঁর মৃত্যু অনিবার্য এবং এটি কেবল সময়ের বিষয় ছিল। তাঁর শরীরে এইডস ধরা পড়লে তিনি বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। বাংলাদেশে শেফালি আক্তারের মতো আরও এইডস রোগী থাকলেও এইডসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিক শক্তি সবার নেই। সারা বিশ্বে এমন অনেক রোগী রয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক এইডস রোগী এই রোগ সম্পর্কে কাউকে বলতে পারে না। কারণ বেশি লোককে এটি বলার সুযোগ নেই। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

যদি এই রোগ সম্পর্কে কেউ জানতে পারে তবে রোগীকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে হবে । শেফালি আক্তার এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি ৭ বছর ধরে এইডসে আক্রান্ত এটা তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন। শেফালি আক্তারের এইডস সম্পর্কে পরিবারের সবাই জানেন। তার স্বামী এবং মা তার এই এইডস রোগ সম্পর্কে জানেন। তবে সে কারণেই শেফালি আক্তারকে তাদের কথা শুনতে হয়নি। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে নেতিবাচকভাবে দেখে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপা

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

তিনি বলছিলেন, আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আমার শ্বাশুড়ি, শ্যালক, ভগ্নিপতি আমাকে বলেছিলেন যে আমি খারাপ মেয়ে আছি। খারাপ মেয়েদের এই রোগ হয়। শুধু তাই নয়, তারা আমার স্বামীকে আমাকে তালাক দেয়ার জন্য বলেছিল। তবে আমার স্বামী তাদের কথা শোনেনি। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

তবে কীভাবে তাঁর মধ্যে এই রোগের অঙ্কুরোদগম হয়েছিল? বিয়ের আগে নাকি পরে? তিনি জানান, এর আগেও একবার তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ৬-৭ বছর আগে তিনি তার স্বামীর সাথে তালাক পেয়েছিলেন। তার আগের স্বামীর একটি কন্যা ছিল। মেয়েটি যখন নয় বছর তখন সে মেয়েটি মারা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে তাঁর মেয়েটিরও একই সমস্যা ছিল। কিন্তু সে সময় তিনি বুঝতে পারেননি। তিনি মেয়েকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যান। তবে শেফালি আক্তারের অভিমত, চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

আমি মনে করি আমার মেয়ে এইডস দ্বারা মারা গিয়েছিল তিনি বলেছিলেন। বড় বড় সব হাসপাতালে আমি আমার মেয়েকে দেখিয়েছি। তবে আমার বাচ্চার এইচআইভি পরীক্ষা কোনও চিকিত্সকই করেননি। শেফালি আক্তার বলেছেন, তিনি কাজের জন্য দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পরে জর্দান গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়েছিল। এইডস ধরা পড়লে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।


মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ বিশ্বাস রয়েছে যে এইডস দ্বারা মৃত্যু অনিবার্য। শেফালি আক্তার বলেছিলেন, যাঁরা জানেন না কেবল তারা এটি বলেন। কোনও ব্যক্তি নিয়মিত ওষুধ সেবন করে এই রোগে মারা যায় না I আমি নিজে এই ওষুধটি নিচ্ছি এবং আমি ভাল আছি। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রশ্ন: এইডস কী? এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

উত্তরঃ এইডস রোগ হলো, একোয়াট ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রম। যেটাকে  সংক্ষেপে আমরা এইডস বলি। এইডস এইচআইভি ভাইরাসের আক্রমনের জন্য হয়। আর এই এইচআইভি এর পূর্ণরূপ হল ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

প্রশ্নঃ কি কারণে এইডস হয় । এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপ

উত্তরঃ এইচআইভি এইডস রোগের প্রধান কারণ হলো অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক । এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে যদি অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক হয় তাহলে যে ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক হবে সে ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। এছাড়াও ইঞ্জেকশন দাঁড়া মাদকসেবনের মধ্যে হতে পারে। যদি কোন বাচ্চার মা এইচআইভি রোগে আক্রান্ত থাকে আর বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করা হলে সেই বাচ্চা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা করে না নিলে সেখান থেকেও এটি হবে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়। এইডস কাকে বলে।

প্রশ্নঃ এইডস এর লক্ষণ গুলো কি কি? এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়।

উত্তরঃ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো দেরিতে প্রকাশ পায় । অনেক ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গিয়েছে যে কোন ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সে ব্যক্তির শরীরে কম করে দশ বছর পর্যন্ত ভাইরাসটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এইডস রোগের লক্ষণগুলো হলো মাথাব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা এবং গলায় ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, কোন কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস কাকে বলে।

প্রশ্নঃএকজন ব্যক্তি যখন জানতে পারে যে সে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত এবং যখন সেটি তার পরিবারের জানতে পারে তখন সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?

উত্তরঃ আসলে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা টা অন্য রোগীদের তুলনায় আলাদা এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সে ব্যক্তির উচিত রোগটি সম্পর্কে সবাইকে জানতে না দেওয়া এবং মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকতে হবে। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।

প্রশ্নঃ এইডস রোগের চিকিৎসা দেশের কোথায় কোথায় দেওয়া হয় ।

উত্তরঃ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সরকার বিভিন্ন সেন্টার নির্ণয় করে দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে হল খুলনা মেডিকেল কলেজে এইচআইভি নির্ণয় এবং সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইচআইভি ভাইরাসের চিকিৎসা দেয়া হয়। বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে দেওয়া হয়। কুমিল্লা মেডিকেল দেওয়া হয়। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।


প্রশ্নঃ এইডস রোগের চিকিৎসা শুরু কিভাবে করা হয়। এইডস কাকে বলে।

উত্তরঃ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে ডক্টররা কাউন্সেলিং করে। আসলে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের কে প্রথমে মানসিক ভাবে তৈরি করে নিতে হয়। তার কারণ হলো এই রোগের কোন প্রতিকার নেই। তবে ওষুধের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি বেশ ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। এ জন্য তাকে মানসিকভাবে তৈরি করাটা ভীষণভাবে জরুরী ।


প্রশ্নঃ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কি অন্যান্য রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে 

উত্তরঃ এইচ আই ভি ভাইরাস যা শরীরে সংক্রমণ করে সেই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখনি কিন্তু বিভিন্ন রোগ তার শরীরে দেখা দেয়। আর এই রোগ গুলোর মধ্যে হলো ডায়রিয়া হওয়া বা শ্বাসকষ্টের রোগ। এ সমস্যাগুলো হলে অন্যান্য রোগির ক্ষেত্রে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয় এ রোগির  ক্ষেত্রেও কিন্তু সেই ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়। এ ওষুধগুলো একদিনের জন্য বন্ধ করা যাবে না এগুলো রেগুলার খেতে হবে।


প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেই ব্যক্তির খাওয়া পানি কেউ খেতে চায় না। সে ব্যক্তির গ্লাস প্লেট কেউ ব্যবহার করতে চায় না আর এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তির ভীষণভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ বিষয়ে পরামর্শ। এইডস কাকে বলে। এইডস কাকে বলে।

উত্তরঃ  আমি প্রথমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর যে বিষয়গুলো বলেছি সেগুলো ছাড়া এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর কোন উপায় নেই। যদি আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশা কামড় দেয় এবং সে মশা যদি অন্য কোনো ব্যক্তিকে কামড় দেয় তাহলেও সে ব্যক্তির শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায় না। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক যদি অন্য কেউ করে তাহলে তার মধ্যে ভাইরাস ছড়াবে না। শুধুমাত্র আমি আমার পোস্টে যে কারণগুলোর কথা বলেছি সেগুলো ছাড়া কখনো এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায় না।

শেষকথা 

আপনারা আজকে আমার এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন এইডস কি? এইডস এর ইতিহাস। এইচআইভি ভাইরাস কিভাবে মানুষের শরীরে ছড়ায়। কি করলে এইচআইভি ভাইরাস ছড়াবে না। এর লক্ষণ গুলো কি কি? প্রতিকার কি ইত্যাদি বিষয়ে আমি আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনারা এই সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন আর সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে পারবেন এইডস সম্পর্কে। এইডস কাকে বলে। এইডস কিভাবে ছড়ায়। এইডস এর লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন