কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

 


প্রত্যেক মাসে আমাদের মাথায় শুধু একটা চিন্তাই ঘুরপাক খেতে থাকে সেটা হল অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল।সালারি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ বিলের চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। কারণ হলো বর্তমান সময়ে আমাদের বাড়িতে ফ্যান অথবা লাইট ছাড়াও অন্যান্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক্যাল জিনিসপত্র আছে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

যেমন স্মার্ট টিভি,, মাইক্রোওয়েভ, ইন্ডাকশন, রেফ্রিজারেটর, টিভি,কুলার,এসি ইত্যাদি।আর এই ইলেকট্রিক জিনিস গুলো অনেক বেশি বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে কী হয় মাসের শেষে আমাদের হাতে অনেক বেশি কারেন্টের বিলের কাগজ চলে আসে। আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কিভাবে কারেন্টের বিল অনেক কম করা যায় সে বিষয়ে।

কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আরো জানুনঃ ফ্রি ওয়েব সাইট তৈরি | বাংলা ওয়েব সাইট | 

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আজকে আমি আমার এই পোস্টে যে টিপস গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেই টিপস গুলো ফলো করলেই আপনাদের পরের মাস থেকে কারেন্টের বিল অনেকটাই কম আসবে। একটা কথা মনে রাখবেন কারেন্টের বিল বেশি আসার কারণ হলো বেশি পরিমাণে ইলেকট্রিক্যাল জিনিসপত্রগুলো ব্যবহার।  আর এজন্যই আপনি যদি কারেন্টের বিল কম করতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে যে এই জিনিসগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার কারেন্টের বিল কম আসবে। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

কারেন্ট অথবা বিদ্যুতের বিল কম করার উপায় গুলো হল

  • সব সময় এলইডি লাইট ব্যবহার করা। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ওয়াটার হিটার ব্যবহার না করা। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ফ্যান এবং লাইট এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে । কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  • বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো সময়ে সময়ে সার্ভিসিং করতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  আধুনিক এবং নতুন মডেলের ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে
  •  এসি ব্যবহার করার সময় মনোযোগ দিতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ডেস্কটপ পিসির বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে । কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  • ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ব্যবহার না হওয়ায় ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামগুলো আনপ্লাগড রাখতে হবে
  •  ন্যাচারাল লাইট ব্যবহার করতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  সোলার প্যানেল ব্যবহার করতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ফ্রিজ এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  রাত জেগে কাজ করলে টেবিল ল্যাম্প এর ব্যবহার করতে হবে
  •  সিলিং ফ্যানের রেগুলেটর ব্যবহার করতে হবে । কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  • নাইট ল্যাম্প নিয়ে ভাবুন। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়

সব সময় এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে

এলইডি লাইট এনার্জি সেভিং হয়। যার ফলে অন্যান্য লাইট বা বাল্ব এর তুলনায় অনেক বেশি কারেন্ট কম ব্যবহার হয়ে থাকে। এলইডি লাইট গুলো কে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এগুলো অল্প  কারেন্ট থেকে প্রচুর আলো দিতে পারে। আর যেহেতু এলইডি লাইট গুলোতে কম তাপ উৎপাদন হয় তাই তাপ উৎপাদন এর ক্ষেত্রেও কম কারেন্টের ব্যবহার হয়ে থাকে। এজন্যই আপনি যদি  কারেন্ট এর বিল কম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে। কারণ অন্যান্য বাল্ব এর তুলনায় প্রায় ১৮% পর্যন্ত কারেন্ট এর ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারে। আর অবশ্যই কারেন্টের ব্যবহার কম হওয়া মানেই কারেন্টের বিল কম আসা। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ 

ওয়াটার হিটার ব্যবহার না করা কারেন্ট বিল কমানোর উপায়

শীতকাল আসলেই আমরা ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে পানি গরম করে থাকি। আর এই সমস্ত ওয়াটার হিটার গুলো মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পানিকে খুব গরম করে দিতে পারে। আর সাংঘাতিক ভাবে পানি গরম করার ক্ষেত্রে এই ওয়াটার হিটার গুলো অনেক বেশি পরিমাণে বিদ্যুতের ব্যবহার করে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদেরকে বলবো যতটা সম্ভব হয় ওয়াটার হিটার ব্যবহার না করে পানি গরম না করা। সে ক্ষেত্রে আপনারা পানি গরম করার জন্য কাঠের চুলা গ্যাস স্টোভ পানি গরম করে নিতে পারেন।

ফ্যান এবং লাইট এর সঠিক ব্যবহার

আপনি যদি আপনার কারেন্ট অথবা বিদ্যুতের বিল এর ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চান বা বিদ্যুতের বিল কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্যান এবং লাইট এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। এটা নতুন কোন কথা না যে আমরা রুম থেকে বাইরে যাওয়ার সময় ফ্যান লাইট বন্ধ করে যাই । সব সময় আমরা যখন ঘর থেকে বের হবো তখন লাইট অথবা ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস আমাদের তৈরি করতে হবে। এটা করে আপনি প্রতিদিন অল্প অল্প করে হলেও আপনার বিদ্যুৎ সঞ্চয় করতে পারবেন। আর সারা মাস পরে আপনার হয়তো 15% পর্যন্ত কারেন্টের বিল কমানো সম্ভব।

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আরো জানুনঃ ইউটিউব SEO কি? ইউটিউব ভিডিও SEO করব কিভাবে?

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো সময়মতো সার্ভিসিং করা

যেকোনো নতুন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো নতুন অবস্থায় যতটা energy-efficient থাকে পুরনো হয়ে গেলে কিন্তু সেই ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামগুলো ঠিক ততটা energy-efficient থাকে না। যেমন ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ ইত্যাদি। যত পুরনো হয় এইসব ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামগুলো কার্য ক্ষমতা কমতে থাকে এবং কার্যক্ষমতা কমার সাথে সাথে এই ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো অতিরিক্ত ইলেকট্রিসিটি এর ব্যবহার করে থাকে। তাই যতটা সম্ভব আপনি আপনার ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলোকে মাঝে মাঝে সার্ভিসিং করান। এতে কি হবে আপনার ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামগুলো আবার অনেকটা নতুন হয়ে যাবে এবং যতোটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কারেন্টের ব্যবহার করবে। এর ফলে আপনার কারেন্টের বিল কম আসার সুযোগ রয়েছে। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা 

আধুনিক এবং নতুন মডেলের সরঞ্জাম ব্যবহার করা

আগেকার সময়ে ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো তৈরি করার সময় এনেরজি এফিশিয়েন্সি উপরের খুব বেশি একটা গুরুত্ব দেয়া হতো না। আগেকার ইলেকট্রিক সরঞ্জাম পুরনো হলেও আমাদেরকে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু অপরদিকে এই পুরনো ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো বিদ্যুতের ব্যবহার করেন। কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়ে আধুনিক এবং উন্নত ইলেকট্রনগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে এনেরজি এফিশিয়েন্সি ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আরো জানুনঃ ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম |

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

তাই আপনি যদি নতুন মডেলের ইনভেটার, স্মার্ট টিভি, ফ্রীজ ইত্যাদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার যে বিদ্যুতের ব্যবহার হবে আপনি যদি আপনার পুরনো মডেলের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো ব্যাবহার করেন তার থেকে কিন্তু বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে। তাই আমি বলব সব সময় চেষ্টা করবেন নতুন মডেলের ইলেকট্রিক আইটেম গুলো ব্যবহার করার কথা এতে আপনার ইলেকট্রিক বিল কম আসার সম্ভাবনা থাকে। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

এসি ব্যবহারের মনোযোগী হতে হবে

আপনার ঘরে যদি এসি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ইলেকট্রিক বিল বেশি আসার সমস্যায় ভুগছেন। তবে আপনি যদি খুবই সাধারন কিছু বিষয় খেয়াল রাখেন তাহলে আপনার এসি বিল কমানো সম্ভব।

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

  • এসি কেনার সময় চেষ্টা করবেন নতুন মডেলের energy-efficient এসি কেনার কথা
  • আপনার ঘর যদি ছোট হয় তাহলে কম টন এর এসি কিনবেন।কারেন্ট বিল কমানোর উপায়
  •  মাঝে মাঝে এসির মেইনটেন্স করাতে একদম ভুলবেন না। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  উইন্ডোজ এসির এর তুলনায় আধুনিক স্প্লিট এসি energy-efficient
  •  আপনি যখন এসি কিনবেন তখন বেশি স্টার রেটিং এসি কিনবেন কারণ যে এসির স্টার রেটিং যত বেশি সেই এসি বেশি energy-efficient।কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  ফাইভ স্টার রেটিং এসি কেনার চেষ্টা করবেন।কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়
  •  এসি যখন পারবেন তখন স্পেলিং প্রাঞ্জল ছেড়ে দিবেন এতে ঘর তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হবে 
  • মাঝে মাঝে এসির এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করবেন তাড়াতাড়ি আপনার ঘর ঠান্ডা হবে 
  • যে ঘরে এসে থাকবে সেটি ভালোভাবে ইনসুলেটেড করবেন যাতে ঠান্ডা বাইরে যেতে না পারে

ডেস্কটপ পিসির বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে

ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার এ দুইটার মধ্যে আলাদা আলাদা সুবিধা আছে। তবে কম্পিউটারের থেকে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আপনার ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। কারণ আপনি কম্পিউটার যতক্ষণ ধরে ব্যবহার করবেন ততক্ষণ সময়ে বিদ্যুতের সাথে কিন্তু যুক্ত রাখতে হয়। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে হলো একবার যদি ল্যাপটপে আপনি ফুল চার্জ দিয়ে দেন তাহলে প্রায় 3 থেকে 4 ঘন্টা সরাসরি কারেন্ট ছাড়াই কিন্তু তাকে ব্যবহার করা যাবে। আবার এতে করে আপনার ইলেকট্রিক বিল অনেকটা কম আসবে।

ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে

আপনার ঘরে যদি ওয়াশিং মেশিন থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার কারেন্টের বিল অনেক বেশি আসবে। কিন্তু এমন কিছু টেকনিক রয়েছে যেগুলো ফলো করে আপনি আপনার ইলেকট্রিক বিল কম করতে পারেন ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেই। আপনার কাপড়-চোপড় যখন নোংরা হবে তখন চেষ্টা করবেন একসাথে সব কাপড়চোপড় গুলো ধুয়ে নে্যার। কারেন্ট বিল কমানোর উপায়


এছাড়া বর্তমান ওয়াশিং মেশিন গুলোতে কিন্তু শুধু কাপড় ধোয়া  না কাপড় শুকানোর সুবিধা রয়েছে। তবে বাইরে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে কাপড় শুকানোর কোন প্রয়োজনও পড়ে না । আপনি যদি ওয়াশিং মেশিনের ভিতরে আপনার কাপুর শুকান তাহলে মেশিনের ভিতরে প্রচুর তাপ সৃষ্টি হবে যার ফলে আপনার ইলেকট্রিক বিল বেশি আসার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও মেশিন ব্যবহার করার আগে ব্যবহার করা হয়ে গেলে কখনও এটি অন করে রাখবেন না। ওয়াশিং মেশিন যদি স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকে তাহলেও সে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়

ব্যবহার না হওয়া ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামগুলো আনপ্লাগড রাখতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায়

ব্যবহার না করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো আনপ্লাগড করেও কিন্তু আমরা বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয়' ব্যবহার কমিয়ে ইলেকট্রিক বিল কম করাতে পারি। যখন আমরা ব্যবহার না হয়ে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো প্লাগিন করে রাখি যেমন ল্যাপটপের চার্জার, টিভি, ডিশ টিভি বক্স, মোবাইলের চার্জার ইত্যাদি যখন প্লাগিন করে রাখি তখন কিন্তু সামান্য পরিমান হলেও ওই জিনিসগুলো বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে। 

কারেন্ট এর বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আর এভাবেই অনেক সময় ধরে অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে বেশি বিদ্যুতের বিল আসার কারণ থাকতে পারে। আমরা যখনই দেখব কোন ইলেকট্রিক সরঞ্জামের ব্যবহার হচ্ছে না তখনই সেই ইলেকট্রিক সরঞ্জাম টিকে আনপ্লাগ করে ফেলব। এতে সামান্য পরিমাণে হলেও আমরা ইলেকট্রিসিটি বিল এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারব।

ন্যাচারাল আলো এর লাভ নিতে হবে। কারেন্ট এর বিল কমানোর 

ন্যাচারাল আলো এর লাভের বিষয়ে আমাদের সবাইকেই কিছুটা হলেও ভাবা দরকার। অনেকেরই অভ্যাস আছে দিনের বেলাতেও ঘরের ভেতরে লাইট জ্বালিয়ে রাখা। আপনার যদি এ ধরনের অভ্যাস থেকে থাকে আর আপনি যদি ইলেকট্রিক বিল কমাতে চান তাহলে আপনাকে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। দিনের বেলায় যতটা সম্ভব দরজা জানলা খুলে রাখবেন যাতে করে সূর্যের আলো ঘরের ভেতরে আসতে পারে। আর অবশ্যই দিনের বেলা ঘরের লাইট বন্ধ করে রাখবেন এতে করে আপনার বিদ্যুৎ বিলের উপরে আপনার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি

সোলার প্যানেল ব্যবহার করতে হবে কারেন্ট বিল কমানোর উপায়

সোলার প্যানেল ব্যবহার করে আপনি আপনার ইলেকট্রিক বিল অনেকটাই কমিয়ে নিতে পারবেন। তবে সোলার প্যানেল ব্যবহার করার প্রথমে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। কিছু টাকা খরচ করে সোলার স্টোরেজ সিস্টেম বা প্যানেল আপনাকে কিনে নিতে হবে। আপনি যদি একবার সোলার সিস্টেম কিনে নেন তাহলে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এবং সেই বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল এর সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাটারীতে চলে আসবে এবং তারপরে সেই ব্যাটারি থেকে আপনার ইনভেটার, এবং ইনভেটার থেকে আপনার ঘরের প্রত্যেকটা ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলোতে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেবে।

কারেন্ট বিল কমানোর উপায়কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আরো জানুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কী? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আর এভাবেই আপনার ঘরের ছাদে থাকা সলার পানেল টি প্রতিদিন সূর্যের আলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরি করবে এবং আপনি সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন । আপনি যদি একবার সোলার ইলেকট্রিক্যাল ষ্টোরস সিস্টেমটি কিনে ফেলেন তাহলে প্রত্যেক মাসে প্রায় 70 শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল কম আসার সুযোগ রয়েছে । কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

ফ্রিজ এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে

আপনার ঘরে যদি ফ্রি থাকে তাহলে বেশ কয়েকটা সাধারন বিষয়ে আপনাকে নজর দিতে হবে। আর সেগুলো হলোঃ কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

  • আপনার ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম টা অবশ্যই মিডিয়ামের সেট করতে হবে।
  •  এতে করে আপনার কারেন্ট এর ব্যবহার কম হবে।কারেন্ট বিল কমানোর উপায়
  • ফ্রিজের মধ্যে কখনোই একবারে গরম করা খাবার রাখবেন না।
  •  ফ্রিজে কোন খাবার রাখতে গেলে অবশ্যই খাবারটাকে ঠান্ডা করতে হবে।
  • তারপরে সেটিকে ফ্রিজের মধ্যে ঢুকাতে হবে। কারেন্ট বিল কমানোর উপায়
  •  বারবার ফ্রিজ খুলবেন না। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি
  • আপনি যতবার খুলবেন ততবারই বাইরের গরম হাওয়া আপনার ফ্রিজের মধ্যে ঢুকবে এবং ফ্রিজের  ঠান্ডা রাখার গ্যাসটি বাইরে বেরিয়ে আসবে।কারেন্ট বিল কমানোর উপায়কি কি
  •  এর ফলে কি হবে আপনার ফ্রিজে ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজ বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে।

রাত জেগে কাজ করলে টেবিল ল্যাম্প এর ব্যবহার

আপনার যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি একটি কম পাওয়ারের টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করতে পারেন। এতে সম্পূর্ণ ঘরের জন্য লাইট জ্বালানোর প্রয়োজন হবে না। আর আপনার কাজটি হয়ে যাবে আর এতে করে আপনি আপনার ইলেকট্রিক বিল কমাতে পাররেন।

সিলিং ফ্যানের রেগুলেটর ব্যবহার করা

গরমের সময় আমাদের ঘরের সিলিং ফ্যান গুলো প্রায় সবসময় চলতে থাকে। সিলিং ফ্যানের মোটর যত দ্রুত ঘুরবে ততটাই  বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। তাই সিলিং ফ্যান গুলোতে স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনি রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। রেগুলার ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজন মত ফ্যান জোরে বা আস্তে করে নিতে পারবেন । আর এই ফ্যান এর মাধ্যমেই আপনি বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে কিছুটা বিদ্যুতের বিল সেভ করতে পারবেন। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি

কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি? কি কি উপায়ে বিদ্যুৎ বিল কম করা যায়।

আরো জানুনঃ গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদিত না হওয়ার

নাইট ল্যাম্প নিয়ে ভাবুন। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি

আপনার যদি রাতে ঘুমানোর সময় নাইট ল্যাম্প বা নাইট বাল্ব ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে বেশি পাওয়ারের লাইট ব্যবহার না করে আপনি কেবল 2 wat এর এলইডি লাইট বাল্ব গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ রাতের বেলা খুব বেশি আলোর প্রয়োজন হয় না সামান্য আলোর প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপনি 2 wat এর এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর এভাবে নাইট এলইডি ব্যবহার করে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি

আমাদের শেষ কথা। কারেন্ট বিল কমানোর উপায় কি কি

তাহলে আমরা আমাদের প্রতিদিনের কিছু ছোট ছোট অভ্যাস এবং সাধারন কাজের মাধ্যমে ইলেকট্রিসিটি বিল কমাতে পারি । আমরা যদি সবাই এই ছোট ছোট টিপস গুলো ফলো করি তাহলে সম্পূর্ণ মাসের মধ্যে আমরা অনেকটাই ইলেকট্রিক বিল সেভ করতে পারব । যখনই আমাদের অনেক বেশি পরিমাণ ইলেকট্রিক বিল আসে তখনই আমরা ভাবি যে এতটা ইলেকট্রিক বিল আসার কারণ কি হতে পারে। তবে ইলেকট্রিক বিল টা হঠাৎ করেই বেশি আসে না প্রতিদিনই একটু একটু করে জমতে জমতে মাসের শেষে অনেকটা বেশি দিন চলে আসে। তাই আপনি যদি আপনার ঘরের ইলেকট্রিক বিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে আমার এই ছোট ছোট এই টিপস গুলো ফলো করে দেখতে পারেন আশা করছি এগুলো আপনাদের কাজে আসবে। পোস্টার পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন