ভোটার আইডি কার্ড চেক এবং ডাউনলোড কিভাবে খুব সহজেই করবেন


আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন এবং চেক করবেন তার সঠিক নিয়মটা জেনে নিন। আমি আমার এই পোস্টে খুব দেখাব কিভাবে আপনারা সহজভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন  । এখানে  ২০২০ সালের  ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডেড় নতুন নিয়ম দেখাবো।  এই পদ্ধতিতে আপনারা অনলাইন থেকে  আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।  আপনার কম্পিউটার এর ফাইল ডেলেত হওয়ে গেছে ফিরিয়ে নিয়াশতে এখানে যান কিক্ল করুন

এই পদ্ধতিতে এনআইডি অনলাইন কপি পাবেন, নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব  এই প্রশ্ন যারা করছেন তারা । ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারেন  যারা ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলেছেন কিন্তু এখনো এনআইডি পাননি,। কিংবা যদি আপনার এনআইডি কার্ড হারিয়ে যায় আর আপনার এনআইডি নাম্বরটি যদি লেখা থাকে তাহলে আপনি এই পদ্ধতিতে আপনার এনআইডি কার্ড  ডাউনলোড করার চেষ্টা করতে পারেন।এখন আপনি চাইলেই জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি বা NID soft copy সংগ্রহ করে সেটা দিয়ে আপনি মূল ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত কাজ্ যেমন বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা, সিম রেজিস্ট্রেশন,ইত্যাদি করতে পারবেন। 

আপনার ওয়েবসাইট গুগল প্রথম পেজ এ নিয়ে যাইতে চান তাইলে SEO করুন


তাহলে চলুন দেখি অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ও চেক করার নিয়ম অথবা আপনি অনলাইন থেকে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের সফট-কপি সংগ্রহ করবেন।

bkash offer | আজকের বিকাশ অফার 

জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া যাবে অনলাইনেই। প্রথমেই আপনাদের কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেই আর সেটা হল যখন  আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন তখন আপনাকে ঐ ফরমের নিচের অংশটি কেটে দেয়া হয়েছিল।


আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই | স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড

৮ সংখ্যার নম্বরটি লাগবে  যখন আপনি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন তখন ।   কিংবা আপনার কাছে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র এর নম্বর থেকে থাকে তাহলেও চলবে । আপনি চাইলে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইল দিয়েও আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন ।


অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

বন্ধুরা আপনারা যখন অনলাইনে আপনাদের নিজের আইডি কার্ড নিজে দেখতে চান। কিংবা অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন এই কথাটি গুগলে সার্চ করেন। তখন আমাদের পোস্টটি আপনাদের সামনে চলে আসে। আপনারা যদি আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চান তাহলে ফলো করুন তাহলে অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। 

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করার নিয়ম


ডাউনলোড করার আগেই আপনাকে চেক করে দেখতে হবে যে অনলাইনে  আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আছে কি না । অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হলে শুরুতেই আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলেই এমন আসবে ।




এরপর এই  পেইজের প্রথম বক্সে আপনাকে মার্ক করতে হবে যে  "ফরম নাম্বর অথবা এন,আই,ডি নম্বর" মার্ক করার পর আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমের ঐ ৮ সংখ্যার ভোটার আইডিত নাম্বার দিন। তারপর   বাঁকি সব ঠিকমত পূরন করে "ভোটার তথ্য দেখুন" বাটনে ক্লিক করতে হবে । ওখানে ক্লিক  করলেই আপনি নিচের চিত্রের মত তথ্য দেখতে পাবেন।

আরো পড়ুনঃ ডাটা রিকভারি করতে চান এখানে ক্লিক করুন

আপনি যদি প্রথম বক্সের না করে দ্বিতীয় বর্ষে এন,আই,ডি নম্বর এখানে ক্লিক করে থাকেন তাহলে। এন,আই,ডি অথবা ভোটার নিবন্ধন ফরম সিলেট এই অপশনের আপনার ১৩ ডিজিটের এনআইডি নম্বর দিবেন। এবং বাকি জন্ম নিবন্ধন তারিখ অপশনে আপনার জন্ম তারিখটি দেবেন সঠিকভাবে। তারপর ইন্টার ক্যাপচার হেয়ার এর পাশে যে কোড গুলো রয়েছে।  ইংরেজিতে লেখাগুলো রয়েছে এই বক্সের মধ্যে দিয়ে দিবেন। দেওয়ার পর ভোটার তথ্য দেখুন এই বাটনে ক্লিক করবেন। আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার টি যদি সঠিক থাকে, তাহলে আপনি নিচের চিত্রের মত আপনার ভোটার আইডির সঠিক তথ্য দেখতে পাবেন।



এখন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য উক্ত পেজ থেকে আপনি আপনার NID নাম্বরটি লিখে নিন । এরপর  রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে । 


রেজিস্ট্রেশন জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোডের জন্য

রেজিস্ট্রেশন জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোডের জন্য। আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো আপনি প্রথমেই নিচের একটি বাটন রয়েছে ওই বাটনে ক্লিক করুন।

আপনি যদি বাটনে ক্লিক করে থাকেন তাহলে। আমার নিচের ইমেজের মত একটি ইমেজ আপনার সামনে শো হবে। এখন ওখানে আপনার পর্যাপ্ত ইনফরমেশন দিয়ে দিন। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র ফ্রম নাম্বারটি এখানে দিবেন। জন্ম তারিখ এখানে দিবেন। এভাবে আপনি নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে



তারপরে নিচে যে কোডটি রয়েছে ওই কোডটি প্রবেশ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আর ও একটি অপশন আসবে আপনার বিভাগ কোন জেলা এবং উপজেলা দুইটা অপশন আসবে দুটো অপশন আপনি একই সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর আপনার ফোন ভেরিফিকেশন চাইলে আপনার ফোন নাম্বারটি দিবেন এবং আপনার ফোনে ৬ ডিজিটের একটি কোড যাবে তারপর ওখানে দিয়ে দিবেন।



দেওয়ার পর নিচের মত একটি ইমেজ পাবেন সেখানে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্যানিং করলে। আপনার তথ্যটি যাচাই করে নিন কিংবা নিচের ধাপগুলো তে আপনি দেখতে থাকুন। অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন।


অনলাইনে NID ডাউনলোডের জন্য লগ ইন


অনলাইনে NID ডাউনলোডের জন্য লগ ইন করতে এখানে ক্লিক করুন। এরপর  নিচের মত একতা পেইজ আসবে । এবার শুধু  লগ ইন করার পালা । খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করুন এখানে ক্লিক করুন




আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই

যদি আপনি যদি আপনার সমস্ত তথ্য ভোটার আইডি কার্ড এর লগইন তথ্যটি সঠিক ভাবে দেন। তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড তথ্য সঠিকভাবে পেয়ে যাবেন। আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই তারা সঠিকভাবে এ তথ্যটি দিয়ে দিলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পাবেন।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি এই পোস্ট বিস্তারিত

আর যদি আপনি আপনার তথ্য সঠিকভাবে না দেন এবং লগইন করেন তাহলে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য দেখতে পারবেন না আপনারা অনেক সময় গুগলে সার্চ করেন যারা বলেন আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই তারা ভোটার আইডি কার্ড তথ্য পাবেন না। তাই আপনি ভোটার আইডি কার্ড দেখতে সঠিক ভাবে লগইন করুন।



ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে উপরের তীর চিহ্নিত স্থানে  মানে ডাউনলোড লিখাতে ক্লিক করুন। আর  ক্লিক করলেই আপনার NID  কার্ডের সফট কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে। 

আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এই পোস্ট বিস্তারিত 

অনলাইন থেকে আপনার NID কার্ড সংগ্রহ করুন

যারা বলেন নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব তারা নিচের ছবিতে ভালোমতো চোখ বুলিয়ে নিন। এবং   যারা আইডি কার্ড দেখতে চাই তারাও দেখে নিন।



এখন আইডি  প্রিন্ট আউট করার পর লেমিনেটিং করে  আপনার সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজে লাগাতে পারেন। 

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে চাই

 স্মার্টকার্ডে মোবাইলের সিমকার্ডের মত চিপ লাগানো থাকে তাই আপনি অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না । স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার কোনো উপায় এখনও নেই ভবিষ্যতেও আসবে না । তবে আপনি যদি এখনও স্মার্টকার্ড না পান তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আপনার স্মার্টকার্ড কবে পাবেন। স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন তা জানতে এই লিংক গিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে (কার্ড বিবরণ তথ্য দেখুন) বাটনে চাপ দিন।

আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এই পোস্ট বিস্তারিত

 অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার উপায়

 অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার উপায়, বন্ধুরা আমার এই পোষ্টটি থেকে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র টি অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পাবেন এবং খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড স্টেপ ১- নাম্বর সংগ্রহ


আপনার কাছে যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বর থাকে তাহলে আপনি সরাসরি ২য় ধাপে যান। আর আপনি যদি এনআইডি কার্ডের জন্য ছবি তুলে থাকে্ন তাহলে এখানে যান এবং ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করন । এখনো যারা NID  পাননি, তাহলে এই ধাপ থেকেই শুরু করুন। মোবাইলের ক্ষেত্রে যদি ফুল স্ক্রিন না আসে তাহলে এই লিংকটি  কপি করে মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজার দিয়ে ডেস্কটপ মুডে ভিজিট করতে পারেন। গুগল ক্রোমে নতুন ট্যাব ওপেন করে উপর দিকে ডান পাশে তিনটি ডটের উপর ক্লিক করলে ডেস্কটপ মুড অপশন পাবেন। সেখানে টিক দিয়ে লিংকটি ওপেন করুন।

আরো পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স পিন ভেরিফিকেশন চিঠি এই পোস্ট বিস্তারিত 

ক্যাপচা একবারে সঠিক না হওয়া পযন্ত বার বার চেষ্টা করেন। রেজিস্ট্রেশন সফল হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে সার্ভার বেশি ব্যাস্ত থাকলে।


 এটা ছড়াও আপনি মোবাইল থেকে sms করেও  NID কার্ড এর  নাম্বর পেতে পারেন। যারা নতুন রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু NID পাননি তারা খুব সহজেই NID নম্বর পেতে পারেন। এজন্য, মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখুন nid স্পেস দিয়ে ফরম নাম্বর  স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ (দিন-মাস-বছর)। মেসেজটি পাঠান ১০৫ নম্বরে। ফিরতি মেসেজে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বর পাবেন।

আরো পড়ুনঃ ১০টি জিনিস করা কখনো উচিত নয় এই পোস্ট বিস্তারিত 

NID হেল্পলাইনঃ অফিস খোলা দিনসমূহে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের হেল্পলাইন 105 নম্বরে ফোন করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেবা নেওয়া যাবে।


জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড স্টেপ ২ – NID Login

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড এর জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে  লগইন করার জন্য এই লিংক ভিজিট করুনঃ



এই পেজে “লগইন করুন” বাটনে  ক্লিক করুন। তাহলে নিচের পেজটি  আসবে।



এই পেজে আপনার ক্যাপচা এবং  লগইন তথ্য পূরণ করে লগইন বাটনে ক্লিক করুন। এবার একটি সিক্যুরিটি কোড আসবে আপনার মোবাইলে মেসেজে । অবশ্য আপনি যদি চান তাহলে ইমেইলেও কোডটি নিতে পারেন। লগইন করার পর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড স্টেপ ৩– এনআইডি কপি ডাউনলোড

 ডানদিকে নীচে থাকা ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন  জাতীয় পরিচয়পত্রের সফট কপি ডাউনলোড করতে ।



অনলাইন NID ফাইলটি প্রিন্ট করে আপনি আপাতত অন্তত কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চালাতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড – বিকল্প উপায়

আপনি যদি অনলাইনে আপনার জাতীয় পরিয়পত্রের সাইটে  লগ ইন করে জাতীয় পরিয়পত্র   ডাউনলোড করতে না পারেন, তাহলে আপনি আপনার মোবাইল থেকে কল করুন 105 নাম্বরে। আর সেখানে একজন দায়িত্বরত অফিসার থাকবে তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আপনার ফোনে মেসেজের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোডের লিংক পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ ২০২১ সালের বাংলা রোজার ক্যালেন্ডার এই পোস্ট বিস্তারিত

আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনার এনআইডির অনলাইন কপি পাবেন। আর সেই কপি থেকে আপনার ডকুমেন্টটি সেইভ করে প্রিন্ট করে নিয়ে নিলেই হয়ে যাবে।


জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য

আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন তাহলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের সংক্রান্ত তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধনের উপায়

আপনাদের যদি জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমার নিচে যে তথ্যগুলো পড়ুন এই তথ্যগুলো সম্পন্ন পড়ে বুঝে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধন করতে পারবেন। আমি আশা করি আমার এই নিচের তথ্যগুলো পড়বেন এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধন করতে সহায়তা করবে ধন্যবাদ!

১। প্রশ্নঃ কতবার একটি কার্ড সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ একটি কার্ড বার বার  সংশোধন করা যাবেনা ।একটি কার্ড মাত্র একবারই সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে  কোন রকম সংশোধন হবে না।


২। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার জন্ম তারিখ ভুল হয়ছে  আমার কাছে কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তরঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ঠিক না থাকলে আর কাছে দলিল না থাকলে এটা সংশোধন করার জন্য আপনার সংশ্লিষ্ট থানা বা জেলা নির্বাচন অফিসে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


৩। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন কিভাবে করতে পারি?

উত্তরঃ আপনি স্বাক্ষর মাত্র একবারই পরিবর্তন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে নতুন স্বাক্ষর এর নমুনা আর গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সহ আবেদন করতে হবে ।


৪। প্রশ্নঃ বয়স বা জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার উপায়  কি?

উত্তরঃআবেদনের সাথে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে আপনাকে আপনার  সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। 


৫। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে  রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে চাইলে কি করতে হয়?

উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয় রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে  ।


৬। প্রশ্নঃ আমার জাতীয় পরিচয়পত্রে  অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে এটা  কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তরঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে আসলে সেই ভুল সংশোধনের জন্য আপনাকে প্রামানিক দলিল  দিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে অথবা NID Registration Wing অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় আবেদন করতে হবে।


৭। প্রশ্নঃ একই পরিবারের সদস্যেদের কার্ডে মা বাবার নাম ভুল লেখা কিভাবে সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ প্রামানিক দলিল সহ সবার আইডি কার্ডের কপি ও সবার সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র  রেজিস্ট্রেশন  Wing   বা  থানা অথবা জেলা নির্বাচন অফিসে পর্যাপ্ত প্রামানিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।


৮। প্রশ্নঃ বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতার জন্য কি বয়স বাড়ানো যাবে ?

উত্তরঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এ প্রদত্ত বয়স  প্রামানিক দলিল ছাড়া কখন পাল্টানো যাবেনা। প্রামানিক দলিল ভালমত তদন্ত ও পরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে

৯। প্রশ্নঃ আইডি কার্ডের ঠিকানা  সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ শুধুমাত্র বাসস্থান পরিবর্তনের কারনে ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনি বর্তমানে যে এলাকায় বাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা বা  থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করা যাবে  ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে। 


১০। প্রশ্নঃবাবা মা কে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?

উত্তরঃ  আপনার্ জাতীয় পরিচয়পত্রে যদি আপনার বাবা মাকে  মৃত উল্লেখ করতে চান তাহলে আপনাকে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে।


১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য কি দলিল জমা দিতে হবে?

উত্তরঃ জমা দিতে হবে  এসএসসি বা সমমান সনদ, আর বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট , জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন বা পৌর ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।


১২। প্রশ্নঃ ID Card এর ছবি অস্পষ্ট হলে ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

উত্তরঃ যদি আপনার্ জাতীয় পরিচয়পত্রে আপনার ছবি অস্পষ্ট হলে আপনি সরাসরি নিজে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই | স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড

১৩। প্রশ্নঃ  কিভাবে পেশা পরিবর্তন করা যাই?

উত্তরঃ যদি আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রে আপনার পেশা পরিবর্তন  করতে চান তাহলে প্রামাণিক দলিল সহ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং অথবা উপজেলা কিংবা জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। 


১৪। প্রশ্নঃ নতুন বিয়ে করলে আগের স্বামীর নামের  স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করা যায় ?

উত্তরঃ এমনটা করতে চাইলে প্রথম বিয়ের  তালাকনামা ও পরের  বিয়ের কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

১৫। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হল সেটার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?

উত্তরঃ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হলে সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সকল সংশোধনের রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে।

১৬। প্রশ্নঃ  কিভাবে কার্ডের তথ্য সংশোধন করা যায়?

উত্তরঃ আপনার কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র  রেজিস্ট্রেশন  Wing  অথবা থানা অথবা জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।  কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধনের পক্ষে উপযুক্ত প্রামানিক  দলিল সহ আবেদন করতে হবে।


জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেললে কি করবেন ?

১। প্রশ্নঃ ID Card হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে ?

উত্তরঃ জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে আপনার নিকটতম থানায় জিডি করে তার মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে  আবেদন করতে হবে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।


২। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে ফিরে পেতে এবং তথ্য সংশোধনের জন্য কি ফি দিতে হয়?

উত্তরঃ হারানো আইডি কার্ড ফিরে পেতে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ফি লাগে না। তবে ভবিষ্যতে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে।


৩। প্রশ্নঃ একই সাথে  হারানো ও সংশোধন করা যাবে  কি?

উত্তরঃ  একই সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তোলা  সম্ভব নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের  আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে,তারপর  সংশোধনের  জন্য আবেদন করতে হবে।


৪। প্রশ্নঃ হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র  সংশোধন করতে হয় কিভাবে?

উত্তরঃ হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র  সংশোধন করতে হলে আগে হারানো আইডি কার্ড  তুলতে হবে  তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে।

নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব | আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই সরাসরি

৫। প্রশ্নঃ স্লিপ হারালে কি  করতে হবে ?

উত্তরঃ স্লিপ হারিয়ে গেলে প্রথমে থানায় জিডি করতে হবে , জিডি  করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে  হারিয়ে যাওয়া কার্ডের জন্য আবেদন্য করতে হবে হবে।


৬। প্রশ্নঃ  জাতীয় পরিচয়পত্র  হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই সে ক্ষেত্রে কি করতে হবে ?

উত্তরঃ আপনার কাছের থানা অথবা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার ভোটার নাম্বার কালেক্ট করে  জাতীয় পরিচয়পত্র Registration Wing অথবা  থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে।


জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসা


১। প্রশ্নঃ বিদেশে থাকলে ভোটের  Registration কিভাবে করতে হয় ?

উত্তরঃ  বিদেশে থাকলে ভোটের  Registration করতে হলে আপনাকে আপনার বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ,আপনার  নাগরিকত্ব সনদ, আপনার এসএসসি সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ  সংশ্লিষ্ট থানা  অথবা জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে।


২। প্রশ্নঃ বিদেশে চলে গেলে কি  আমার কার্ড অন্য কেউ তুলতে পারবে ?

উত্তরঃ জি হ্যাঁ  আপনি বিদেশে চলে গেলে আপনার কার্ড আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ  করতে  পারবে।

 

৩। জাতীয় পরিচয়পত্র এর নাম্বার কারোর ১৩ ডিজিটের  আবার কাররটা ১৭ ডিজিটের কেন?

উত্তরঃ ২০০৮ এর আগে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে সেগুলো নাম্বার ১৩  ডিজিটের আর ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে সেগুলো নাম্বার ১৭ ডিজিটের।

ভোটার আইডি কাড দেখার নিয়ম

৪। প্রশ্নঃ একজন ব্যক্তি কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পেতে পারবে ?

উত্তরঃ জি না একজন ব্যক্তি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পেতে পারবেনা। একজন ব্যক্তি মাত্র একটি কার্ড করতে পারবেন।কেউ যদি তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা সেটা ধরা পড়বে এবং এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।


৫। প্রশ্নঃ আপনারা ফরমের কথা বলেছেন এই ফরমগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ জাতীয় পরিচয়পত্র  Registration Wingঅথবা  জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে আপনারা এই ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন  অথবা Website : www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে।


৬। প্রশ্নঃ এই সব ফরমের জন্য কি কোন টাকা লাগবে?

উত্তরঃ না এই সব ফরমের জন্য  কোন টাকা লাগবে না ।


আপনাদের কাছ থেকে আমরা যে ধরনের প্রশ্ন পেয়ে থাকে
  • নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে,
  • অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন,
  • আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই,
  • স্মার্ট কার্ড চেক,
  • ভোটার আইডি কার্ড তৈরি,
  • নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব,
  • নতুন ভোটার নিবন্ধন ২০২১,
  • ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন,
  • ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি
  • ভোটার আইডি কার্ড তৈরি
  • নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব
  • ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
  • নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে
  • আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই
  • কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড বানাবো
  • নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে


3 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন