কিভাবে ফাইভারের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায়!

 

 বর্তমান প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের একটা বড় অংশের বহুল ব্যবহৃত  শব্দ হলো এই ফ্রিল্যান্সিং । যেভাবে প্রতিনিয়ত  ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে সেই  ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রতিযোগিতাও  বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । ফাইভার হল একটি বহুল জনপ্রিয় নাম ইন্টারনেটে অসংখ্য ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে। এই পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় হল কীভাবে  ফাইভার কাজ করে এবং কিভাবে ফাইভার এ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফলতা অর্জন করা যায় । 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কীভাবে সুরক্ষিত রাখবো বিস্তারিত

ফাইভার আসলে কী?


বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হল ফাইভার । প্রত্যেকটা ডিজিটাল সেবার জন্য ফাইভার প্ল্যাটফর্মে অগণিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন । গ্রাহকগণ এদের মধ্য থেকে তাদের পছন্দের জনকে খুঁজে নেন। গিগ ফাইভার এর যেকোনো সেবার অফারকে  বলা হয়। ফাইভার এ  বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায় মাত্র ৫ ডলারে । আর তার জন্যই ফাইভার নামের সাথে ফাইভ কথাটি যুক্ত আছে। ফাইভারে যদিও  অনেক বেশি দামে সেবা পাওয়া যায় । বাংলা ওয়েবসাইট SEO করার নিয়ম 

কীভাবে ফাইভার কাজ করে?


আপনি বায়ার হোন কিংবা ফ্রিল্যান্সার হোন ফাইভারে বায়িং বা সেলিং এর ক্ষেত্রে একাউন্ট থাকা আবশ্যক।  তাদের সেবার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সম্বলিত গিগ পোস্ট করেন ফ্রিল্যান্সারগণ । আর সেখান থেকে গ্রাহকগণ তাদের পছন্দের গিগটি বেছে নেন।ফ্রিল্যান্সার বায়ারদের কে কখনো খুঁজে নেন প্রজেক্ট পোস্ট করে আবার কখনো শুধু সার্চ করে।

আরো পড়ুন : শিশুদের ভাষা শেখার ১২ টি সেরা অ্যাপ বিস্তারিত

গিগ এর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ গ্রাহকের একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হয় অর্ডার প্লেস হলে এবং সেই অর্থ ফ্রিল্যান্সার এর একাউন্টে জমা হয়।  ফাইভার প্রতি ৪০ ডলার এর চেয়ে  কম অর্ডারের জন্য মূল অর্থ এর ২ শতাংশ কেটে নেয় এবং ৪০ ডলার এর চেয়ে  বেশি হলে মূল অর্থ এর ৫ শতাংশ কেটে নেয়।ফাইভার ফ্রিল্যান্সার সেই মূল অর্থের ৮০% পেয়ে যান বায়ার কর্তৃক অর্ডার কমপ্লিট হলে । আর বাকিটা ফাইভার তার সার্ভিস চার্জ হিসেবে কেটে রাখে।

আরো পড়ুনঃ ত্বক ও চুল উজ্জ্বল রাখে যেসব খাবার। এই পোস্টে বিস্তারিত
উল্লেখ্য, সময়ের সাথে চার্জের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। তবে মূলনীতি এরকমই।

কী কী কাজ করবেন ফাইভারে  ?


 ইন্টারনেটভিত্তিক যেকোনো ধরনের সেবা আপনি ফাইভারে প্রদান করতে পারেন। ধরুন আপনি গান তৈরী করতে পারেন তাহলে আপনি সেক্ষেত্রে মিউজিক প্রডিউসিং এর কাজ করতে পারেন । কিংবা আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। তার মানে হল আপনি যে  কাজেই দক্ষ হন না কেনো, ফাইভার এ  কাজ করতে পারবেন। আর ফাইভার এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজগুলোর মধ্যে আছে | গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম এই পোস্টে বিস্তারিত

  • ওয়েব ডেভেপমেন্ট বা সফটওয়্যার

  • ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট,

  • ভিডিও এডিটিং

  • কন্টেন্ট রাইটিং

  • প্রুফরিডিং

  • ভয়েস-ওভার

  • ওয়েবসাইট ডিজাইনিং

  • গ্রাফিক ডিজাইনিং ইত্যাদি।

সফল ফাইভার গিগ তৈরী করবেন কীভাবে?

 গিগ তৈরি করার জন্য প্রথমে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করে নিজের প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । ।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম বিস্তারিত এই পোস্ট

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী গিগ তৈরী করা কারন ফাইভার গিগ সিস্টেমের উপর কাজ করে তাই । একজন ফ্রিল্যান্সারের ফাইভার গিগ তৈরি করার সময় যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা দরকার সেগুলো হল


  • আপনার সেবার সাথে অবশ্যই মানানসই সঠিক ট্যাগ, সাব-ক্যাটাগরি এবং ক্যাটাগরি  নির্বাচন করুন। বায়াররা ক্যাটাগরি মেন্যু এবং ট্যাগ অধিক ব্যবহার করেন তাদের কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার খুঁজতে। আর তাই ফ্রিল্যান্সারদের সেবার সাথে মিলিয়ে সঠিক সাব-ক্যাটাগরি এবং ক্যাটাগরি নির্বাচন করা  খুব জরুরি। কিভাবে জিমেইল আইডি খোলা যায় বিস্তারিত এই পোস্ট


  • আপনাকে বিশ্লেষণ করতে হবে আপনার অফার করা সেবার সাব-ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা কেমন রয়েছে। যে সাব- ক্যাটাগরিতে আপনি গিগ পোস্ট করবেন তাতে আরও কী কী তথ্য যোগ করা দরকার  ভালো অবস্থানে থাকা গিগগুলো দেখুন এবং জানার চেষ্টা করুন ।


  • আপনার গিগ এর টাইটেলটি ৮০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে সবচেয়ে সেরা টাইটেল হওয়া চাই কারন ফাইভার একটি প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেস তাই ।আপনার টাইটেলে ইমোশন যোগ করতে বিশেষণ ব্যবহার করুন।আপনি আপনার কাজে নিজস্বতা  তুলে ধরার চেষ্টা করুন।  এছাড়াও আপনি আপনার টাইটেলে এটাও যোগ করতে পারেন যে আপনি কত দ্রুত কাজ সম্পন্ন করেন ।

আরো পড়ুনঃ ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড কিভাবে বের করবো বিস্তারিত এই পোস্ট
  • একাধিক প্যাকেজ তৈরী করা যায় ফাইভার এ একই গিগ এর জন্য ।আপনি যদি এর যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটা আপনাকে অপেক্ষাকৃত অধিক কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে।


  • গিগ এর মধ্যে আপনি আপনার সাথে কাজ করার সুবিধা তুলে ধরতে পারেন এবং আপনিই এটাও তুলে ধরুন যে আপনি কোন কাজটির জন্য যথাযোগ্য লোক । কারন বায়াররা আপনার গিগ দেখেই কিন্তু আপনাকে কাজটি দিবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেন। বায়াররা যাতে দরকার হলে আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে পারে  আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া লিংকগুলো গিগ এ যুক্ত করতে পারেন। যদিও ফাইভার প্ল্যাটফর্মের বাইরে গিগের অর্থ আদানপ্রদান ফাইভার জানতে পারলে আপনার একাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা এই পোস্ট বিস্তারিত
  • আপনি চাইলে গিগ এর সেবা সম্পর্কিত ভিডিও, ছবি যুক্ত করতে পারেন এর ফলে কি হবে বায়াররা আপনার কাজের সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণা পাবেন।আবার আপনি আপনার গিগ এর লিংক সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। ফাইভার এর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে অ্যাপ এর মাধ্যমে গিগ হোয়াটসঅ্যাপ এর মত মেসেজিং অ্যাপে সহজেই শেয়ার করা যায়। তাছাড়াও আপনি আপনার সেবা সম্পর্কে ছোট করে  লিখে কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মানুষকে জানিয়ে দিতে পারেন।

ফাইভার সেলার লেভেল


সময়মত ডেলিভারি, হাই-কোয়ালিটি সেবা এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে  ফ্রিল্যান্সারদের ফাইভারে সেলার লেভেল প্রদান করা হয়। ফাইভারে আলাদা স্ট্যাটাস ও পরিষেবা অর্জনে সহায়ক প্রতিটা সেলার লেভেল । ফাইভার আপনার কাজের বিবরণ অনু্যায়ী  প্রতি মাসে সেলার লেভেল আপগ্রেড হতে পারে।  এই সেলার লেভেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফাইভারে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে।  বিকাশ ডিসকাউন্ট অফার বিস্তারিত এই পোস্ট

ফাইভার প্রোফাইলের মাধ্যমে কাজ পাওয়া যায় ?

অবশ্যই আপনি ফাইভার প্রোফাইলের মাধ্যমে কাজ পাবেন।  যদি আপনি একজন সেলার হন তাহলে বায়াররা আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, সেলার লেভেল, রেটিংস –  দেখে তারা তাদের কাজের জন্য আপনার উপর ভরসা করবে। আর তাই ফাইভারে সফল হওয়ার আরেকটি ধাপ হল প্রোফাইলকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। বৃদ্ধাশ্রম সৃষ্টির প্রাচীন ইতিহাস বিস্তারিত এই পোস্ট

কীভাবে ক্লায়েন্টকে খুশি রাখবেন?

মার্কেটপ্লেসগুলোর মূল চালিকাশক্তি হল সেলার এবং ক্লায়েন্ট । আর এজন্য একজন সেলার এর নৈতিক দায়িত্ব হল ক্লায়েন্ট এর  মতামত ও ইচ্ছা কে গুরুত্বের চোখে দেখা । একজন সেলার এর  ক্লায়েন্টকে খুশি রাখতে যেসব  নজর রাখতে হবে | আজন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি এই পোস্ট বিস্তারিত


  • ক্লায়েন্ট এর সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে।
  • ক্লায়েন্ট যে প্রশ্ন করবে শেটা যথা সময়ে উত্তর দিতে হবে।
  •  ক্লায়েন্ট কনো বেপারে না বুঝতে পারলে। কিংবা কাজ এর ধারনা ভুল ভাবে উপস্থাপন করেলে ক্লায়েন্টকে ভাল ভাবে কাজ সম্পরকে বুঝিয়ে দেওয়া।
  • এবং ফাইবারের নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে এক জন সেলার মেনে চলা।
  • এবং সময় মত কাজ ডেলিভারী দেওয়া।

ফাইভার এর ভবিষ্যৎ কি

ফাইভার গিগ, ফাইভার একাউন্ট, ফাইভার কি, ফাইভার ডটকম, ফাইভার থেকে আয়, ফাইভার গিগ মার্কেটিং, ফাইবার, ফাইভার একাউন্ট তৈরি, ফাইবার টিপস, ফাইভার কি, Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়, ফাইভার টিউটোরিয়াল, ফাইবার মার্কেটপ্লেস, ফাইভার একাউন্ট, ফাইবার গিগ মার্কেটিং|

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন