কেন গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না


আপনারা কি জানেন যে অ্যাডসেন্স হল  মানুষের কাছে  সোনার হরিণ এর মত।গুগল অ্যাডসেন্স হল সারা দেশের সবচেয়ে  পপুলার এডভেটাইজ নেটওয়ার্ক  ।  যারা ব্লগিং করে থাকেন বা  ব্লগিং সম্পর্কে যাদের একটু হলেও জানা আছে তারা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য কয়েকটা শর্ত পূরণ করতে হয় । আর  এদের মধ্যে  ইউনিক কন্টেন্ট কে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় ৷

আরো পড়ুনঃ অ্যাডসেন্স ছারাই আয় বিস্তারিত এই পোস্ট

আপনি যদি  অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে অন্য কারো  কনটেন্ট কপি করে আর সেই কপি করা কনটেন্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন তাহলে জেনে রাখুন  আপনি কখনই অ্যাডসেন্স পাবেন না৷


এখন আপনার কাছে যে কন্টেন্ট আছে সেটা একদম  ইউনিক কন্টেন্ট । আর  ইউনিক কন্টেন্ট আছে বলেও আপনি  অনেক  খুশি মন নিয়ে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করলেন ।  কিন্তু অ্যাডসেন্স এ এপ্লাই করার পর দেখলেন আপনার  এডসেন্স  গুগল এপ্রুভ করল না। কিন্তু  গুগল  কেন আপনার  অ্যাডসেন্স এপ্রুভ করল না তা কি জানেন? আর আপনার  শুধু ইউনিক কনটেন্ট  থাকলেই হবে না। ইউনিক  কনটেন্ট  এর পাশাপাশি আরও কিছু খুঁটিনাটি নিয়মকানুনগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে৷

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক প্রোফাইল লক আনলক করার নিয়ম বিস্তারিত এই পোস্ট

১. আপনাকে ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে টপ লেভেলের


টপ-লেভেল ডোমেইন ব্যবহার না করলে গুগল আপনার আবেদন নাকচ করে দেবে গুগল ।  তবে এমন অনেক সময়  ডোমেইন টপ লেভেলর না হলেও গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ করে । আর অনেক সময় সাবডোমেইন ওয়েবসাইটগুলোতেও গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে  থাকে। আর সাবডোমেইন ওয়েবসাইটগুলোতে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ  করার  কারণ হল সেগুলো তে প্রচুর পরিমাণ ইউনিক কন্টেন্ট থাকে৷ আর শুধু  ইউনিক কন্টেন্টই থাকে না  তার পাশাপাশি সেই সকল সাইটে অনেক পরিমাণে ভিজিটর আসে । আর এই সব  ভিজিটরদের  অ্যালেক্সা র‍্যাংকিং এ   মোটামুটি ভালো ৷  আর  তার পাশাপাশি যদি  ওয়েবসাইটের থিমটিও সুন্দর হয়।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কীভাবে সুরক্ষিত রাখবো বিস্তারিত

২. ভাল  মানের  কনটেন্ট হতে হবে:

ভাল  মানের  কনটেন্ট  যদি না হয় তাহলে কখনই গুগল  আপনার ওয়েবসাইটটি এপ্রুভ করবেনা । তার কারন  হল গুগল যখন আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ করবে  তখন  মানুষের এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট রিভিউ করবে  । সুতরাং তারা যখন  আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ করবে  তখন যদি তারা  সেখানে যুক্তিপূর্ণ এবং ভালো মানের কোন কনটেন্ট না পাই তখন তারা আপনার  অ্যাডসেন্স  নাকচ করে দেবে ৷ তার জন্য আপনার এমন বিষয়ে  কনটেন্ট লেখা উচিৎ  যে বিষয়টিতে আপনার অনেক বেশি অভিজ্ঞতা আছে এবং আপনি বেশ দক্ষ। আর  স্বভাবতই মানুষ সে বিষয়ে অভিজ্ঞ হয় আর দক্ষ হয় সেই বিষয়ের উপর সে অনেক  ভালো কনটেন্ট লিখতে পারে৷

আরো পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম এই পোস্টে বিস্তারিত

৩.যদি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক না থাকে:


এখন আপনাদের অনেকের মনে  প্রশ্ন আসতে পারে যে গুগল এডসেন্স  পাওয়ার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক তো তেমন একটা প্রভাব ফেলেনা। হ্যাঁ আপনার কথার সাথে আমিও একমত। তবে আপনার ওয়েবসাইটতে  প্রতিদিন কম করে হলেও দশ- থেকে বারোটি ভিজিটর থাকতে হবে । তা না হলে কিন্তু  গুগল আপনার ওয়েবসাইটে এপ্রুভ করবেনা।

আরো পড়ুনঃ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত এই পোস্ট

৪. কোন থার্ড পার্টি  এড রাখা যাবে না আপনার ওয়েবসাইটে 

আপনার ওয়েবসাইটিতে কোন থার্ড পার্টি এডস রাখা যাবেনা যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এন এপ্লাই করবেন । কিন্তু  আপনি স্পন্সরশীপের আডস রাখতে পারবেন কোন প্রবলেম নেই । মূলত আপনার  ওয়েবসাইটিতে   অন্য কোন অ্যাড নেটওয়ার্কের এড রাখা  যাবেনা ৷ আপনার  ওয়েবসাইটির জন্য গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই  করার পর  যদি গুগল আপনার ওয়েবসাইটে অন্য কোন  থার্ড পার্টি অ্যাড নেটওয়ার্কের এড দেখে তাহলে গুগোল আপনার আবেদন  নাকচ করে দে্বে ৷ তবে আপনি যদি  চান তাহলে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করার আগে বিভিন্ন ধরনের থার্ড পার্টি এড  ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি্ন যখন এডসেন্সে এপ্লাই করবেন তখন আপনার সাইট থেকে এই অ্যাডগুলো  সরিয়ে নেবেন।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে জিমেইল আইডি খোলা যায় বিস্তারিত এই পোস্ট

৫. হোস্টিং ক্রয় করতে হবে ভালো মানের কোম্পানি থেকে


এটা   অনেক  বেশি   গুরুত্বপূর্ণ। তার  কারণ হল আপনার যদি ভালো মানের হোস্ট না থাকে তাহলে আপনি আপ টাইম কম পাবেন। আর আপনা্না যদি আপটাইম কম থাকে ্তাহলে  গুগোল আপনার ওয়েবসাইটে  অ্যাডসেন্স  এপ্রুভ করবেনা। বিশেষ করে যেসকল গুগোল অ্যাডসেন্স  স্পেশালিস্টরা রয়েছে, তারা যদি আপনার ওয়েবসাইটটি রিভিউ করতে আসে আর  এসে যদি আপনার ওয়েবসাইটটি বন্ধ দেখে তাহলে তারা আপনার ওয়েবসাইটটি রিভিউ করতে পারবে না । এবং আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স  হবে না।

আরো পড়ুনঃ ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড কিভাবে বের করবো বিস্তারিত এই পোস্ট

৬., প্রাইভেসি, কন্টাক্ট, ও পলিসি মেনু রাখতে হবে:


প্রাইভেসি, কন্টাক্ট, ও পলিসি মেনু  আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার ওয়েবসাইটে শুধু মাত্র ইউনিক কন্টেন্ট থাকলে হবে না। ইউনিক কন্টেন্ট এর পাশাপাশি আপনাকে কন্টাক্ট এবং প্রাইভে্সি এবং পলিসি রাখতে হবে। আপনাকে কন্টাক্ট এবং প্রাইভে্সি এবং পলিসি  এজন্য  রাখতে  হবে যেন গুগল বুঝতে পারে যে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটরদের যোগাযোগ এর সুব্যবস্থা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি এই পোস্ট বিস্তারিত

অবশেষে এটাই বলব যে গুগলের অনেক ধরনের পলিসি রয়েছে। আর এই পলিসিগুর  মধ্যে কোন এক পলিসি বাদ পড়লে আপনার ওয়েবসাইটটি এপ্রুভ নাও হতে পারে । সুতরাং আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে গুগলের সবগুলো পলিসির একবার করে ঝালিয়ে নেওয়া ৷


1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন